
রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত মত লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে স্পেশাল রাজধানী রেলপরিষেবা। আগামিকাল থেকে দেশব্যাপী চলবে প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তার আগে বেশ কিছু নিয়মের কথা সোমবারই জানিয়ে দিল রেলমন্ত্রক। যেমন ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছন আবশ্যক। এছাড়াও প্রত্যেক যাত্রীকে তাঁদের ফোনে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশটি, সোমবার রেলমন্ত্রকের মুখপাত্রের তরফে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
এমনকী এও বলা হয়েছে যে খাওয়ার এবং গায়ে দেওয়ার চাদর এবং কম্বল যাত্রীদেরকেই বহন করতে হবে। আজ বিকেল ৪টে থেকেই আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ট্রেনের নাম রাজধানী হলেও সেই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না রেলের পক্ষ থেকে। দুপুরের কিংবা রাতের খাওয়ারের বন্দোবস্ত করতে হবে যাত্রীদেরই। তবে যাত্রীরা চাইলে ক্যাটারিং স্টাফদের থেকে প্রি প্যাকেড স্ন্যাকস, বিস্কুট কিনে নিতে পারবেন। এটা অনেকটাই বিমানে যেরকম পরিষেবা দেওয়া হয় তেমন। তবে এক এক দিকের ট্রেনের এক এক রকম ভাড়া হবে।এখনও পর্যন্ত রেলের তরফে জানা গিয়েছে যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে যেভাবে দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই রাজধানী ট্রেনে তা হবে না। যেরকম সিটের ব্যবস্থা রয়েছে তেমনভাবেই পুরো যাত্রী নিয়েই ছাড়বে ট্রেন। এমনকী কোনও ওয়েটিং লিস্টও রাখা হবে না। মূলত সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই রেলের তরফে এসি কোচে কোনও বালিশ, চাদর, কম্বল দেওয়া হবে না। এমনকী ট্রেনের টয়লেট পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। যেহেতু সমস্ত হাউসকিপিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে তাই ট্রেনের বাথরুম পরিস্কার করার কাজটিও করা হবে না।
তবে বুকিং নিশ্চিত হলে বৈধ টিকিট নিয়ে প্ল্যাটফর্মে আসার পর যাত্রীদের একটি কঠোর স্ক্রিনিং পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
কোথায় কোথায় চালু হচ্ছে এই পরিষেবা?
নিউ দিল্লি থেকে ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকনদরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, থিরুভন্তপুরম, মুম্বাই, আহমেদাবাদ এবং জম্মু তাওয়াই-এ চলবে ট্রেন। সূত্রের খবর, সূত্র জানায়, শনিবার সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকের পর রবিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়।
Comments
Post a Comment
Welcome To My Blog.