‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা’, যেখানে মানুষের কোনো চিহ্ন নেই


১০ কোটি বছর আগে সাহারা মরুভূমিতে ছিল ডাইনোসরের বাস। যেটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব মরক্কো হিসাবে পরিচিত। এটি ভয়ঙ্কর হিংস্র মাংসাশী ডাইনোসরের এলাকা ছিল। এরদের মধ্যে নাকি উড়ন্ত ডাইনোসরও ছিল। জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, এদের দলের মধ্যে অন্তত তিনটি বিরাটাকারের ডাইনোসর থাকত।

বিজ্ঞানীরা এই এলাকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা হসেবে চিন্থিত করে। এমন একটি জায়গা যেখানে কোনও মানুষের ইতিহাস নেই। এখানে কোনো মানুষের পক্ষে বেশি দিন লড়াই করা সম্ভব ছিল না। মানুষ নিতান্তই ক্ষুদ্র প্রাণী।

বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল মরক্কোর সাহারা মরুভূমির প্রাচীন পাথর থেকে জীবাশ্ম সংগ্রহ করে। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পর্যালোচনা করা হয়। এরপর ওই গবেষণা পত্র জার্নাল জুকিসে প্রকাশ করা হয়েছিল।নিজার ইব্রাহিম এই প্রবন্ধের প্রধান লেখক। ইনি ডেট্রয়েট মার্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার অধ্যাপক। তিনি বিশেষজ্ঞদের গবেষণার মধ্যে থেকে আফ্রিকায় ডাইনোসরদের রাজত্বের বেশ কিছু সময় তুলে ধরেছেন। মরক্কো ও অ্যালজেরিয়ার সীমান্ত ও সাহারা মরুভূমির প্রান্তে ছিল ডাইনোসরের আতুরঘর। ১৯৯৬ সালে, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল সেরেনো ও তার সহকর্মীরা এই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে জীবাশ্ম খুঁজে পায়। এরপরই ওই স্থানের নাম দেওয়া হয় ‘কেম কেম বেডস’।

পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, ১০ কোটি বছর আগে সাহারা মরুভুমি শুষ্ক ও রুক্ষ ছিল না। পরিপূর্ণ জলাশয়, নদী ও স্যাঁত স্যাঁতে আবহাওয়া ছিল। প্রচুর পরিমাণে জলজ প্রাণী ছিল এখানে।

এই জায়গা থেকে পাওয়া জীবাশ্ম পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, তিন ধরণের বৃহত্তম মাংসাশী ডাইনোসর এখানে বসবাস করত। কারক্যারোডন্টসরাস, এই ধরণের ডাইনোসরের উচ্চতা ছিল ৪০ ফুটেরও বেশি। বাকি ডেল্টাড্রমিয়াস নামক বৃহত র্যাপটরের দল ছিল। যাদের পিছনের পা লম্বা এবং সরু ছিল। এদের পাশাপাশি এই এলাকায় কুমিরের মত দেখতে হিংস্র প্রাণী ও উড়ন্ত সরীসৃপ প্রাণী ছিল।

এখানে প্রচুর মাছও ছিল। ডাইনোসরের একাংশের খাদ্য ছিল মাছ। প্রসঙ্গত, সে সময় এখানে বিশালাকার মাছ পাওয়া যেত। যেমন, সিলাকান্ত, লাঙফিস। এছাড়া, এখানে একধরণের মাছ ছিল সে সময়, যার দাঁত ছিল, ছুরিতে পেচানো কাটা তারের মত।

No comments:

Post a Comment

Welcome To My Blog.