বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদও শেষের পথে। তবে কমছে না করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। যদিও পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখা যাচ্ছে হটস্পটের সংখ্যা ১৭৭ থেকে কমে ১২৯ হয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় সার্বিকভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতি ভাল বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্র। তবুও, ৩ মে-র পর করোনা মোকাবিলাই আসল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে কেন্দ্র।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে ভাইরাস সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে মুম্বই, পুনে, আমেদাবাদের করোনা আক্রান্তের হারকে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৪২৯ জেলায় করোনার পজেটিভের হদিশ মিলেছে। তবে ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে শহর এলাকাতেই।ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রামের রিপোর্ট অনুসারে (২৭ এপ্রিল পর্যন্ত), দেশের ৮৫ জেলা গত ১৪ দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর মেলেনি। তবে, পাঞ্জাবের এসবিএসনগর, উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের মতো জেলায় গত ২৮ দিনে করোনা আক্রান্তের খবর না পাওয়া গেলেও পরে ফের সেই দুই জেলা থেকে সংক্রমণের খবর মেলে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ধরনের জেলার সংখ্যা আপাতত ৩৮টি। জেলাগুলির বেশিরভাগই বিহার, কর্নাটক, হরিয়ানায় অবস্থিত।
সুতরাং, একবার করোনা মুক্ত হলেই যে সেই অঞ্চল বা জেলায় ফের সংক্রমণ ছড়াবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আর এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। বর্ধিত লকডাউনের শেষে যা রোখাই কেন্দ্রের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে গণ্য হচ্ছে। লকডাউনের প্রথম পর্বের শেষ কেন্দ্র জানিয়েছিল, রেড জোন বা হটস্পটে শেষ করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট নেগেটিভ মেলার ১৪ দিন পর নতুন করে সংক্রমণ না হলে তা অরেঞ্জ জোনের অন্তর্গত বলে বিবেচিত হবে। ২৮ দিন নতুন করোনা সংক্রমণের খবর না মিললে তা গ্রিন জোন বলে মনে করা হবে। তবে, সেই বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনার সময় এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হটস্পট ও কনটেনমেন্ট এলাকায় ৩ মে-র পরও লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষেই বেশিরভাগ রাজ্য সরকার। হটস্পটে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের কাছে ইতিমধ্যেই দরবার করেছে একাধিক রাজ্য। মোদী সরকার বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদ শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাবে। তবে, করোনামুক্ত জেলাগুলিতে নতুন করে সংক্রমণের বিষয়টিই এখন কেন্দ্রের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
No comments:
Post a Comment
Welcome To My Blog.