চরিত্র বদলাচ্ছে করোনা, হাসপাতালই সংক্রমণের আঁতুড়ঘর নয়তো?

ক্ষণে ক্ষণে রূপ নয়, চরিত্র বদলাচ্ছে বিশ্বের ত্রাস করোনাভাইরাস। প্রাথমিকভাবে মিউকাসবাহিত ভাইরাস বলে মনে করা হলেও এখন তার দাপট বাতাসেও। সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যেসব ঘর বদ্ধ অর্থাৎ হাওয়া চলাচল করে না কিংবা প্রচুর মানুষ যেখানে রয়েছে তেমন জায়গায় এই ভাইরাস বিস্তার লাভ করছে। এমনকী এখন বাতাসের মধ্যে অবস্থিত ধূলিকণাকে আঁকড়ে ধরে ‘এয়ারোসল’-এর রূপ দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সে।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে আমরা যখন হাঁচি দেই, কিংবা কাশি তখন দু’ধরণের বাতাস নিগর্ত হয়। একটি যা মিউকাস মিশ্রিত অন্যটিতে মিউকাসের পরিমাণ কম এবং বাতাসে তাঁরা এয়ারোসল হিসেবে থাকে। এই দ্বিতীয়টিকেই বিজ্ঞানীরা মানছেন করোনা সংক্রমণের কারণ হিসেবে। একটি থেকে যা মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ছে বহু মানুষের শরীরে। এমনকি বদ্ধ ঘরে দীর্ঘদিন ধরেই এরা বেচে থাকতে পারছে। সেই কারণেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
গবেষকরা দেখেছে যে চিনের যে শহর থেকে প্রথম এই ভাইরাস ছড়ায় সেখানকার হাসপাতালের বাথরুম, হাউসিং এলাকা যেখানে লোকসমাগম বেশি হচ্ছে, এমনকী সুরক্ষামূলক গিয়ার যেখানে রাখা হচ্ছে সেই জায়গাতেও নিজের বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে করোনা। এদিকে সোমবার এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব। তবে বাতাসের মধ্য দিয়ে কতটা সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস সে বিষয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন গবেষকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর তরফে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে হয়তো বাতাসের মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে চিনের ৭৫ হাজার জন আক্রান্তের ক্ষেত্রে ভাইরাস বায়ুবাহিত ছিল না তা স্পষ্ট করেছে হু। তবে কি সংক্রমণ হচ্ছে শুধুই মিউকাসে? বিশ্বে যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে করোনা, তাতে তার চরিত্র খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা বিজ্ঞানীমহলের।
Post a Comment